1. gonomanusherkatha.bd@gmail.com : গণমানুষের কথা : গণমানুষের কথা
  2. info@www.gonomanusherkatha.online : গণমানুষের কথা :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

সোহেল রানা সহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপূরণের দাবি

রতন হোসেন মোতালেব
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

আজ ২৪ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার, সকাল ৯ টায় জুরাইনে গণকবরে রানা প্লাজায় প্রাণহারানো শ্রমিকদের স্মরণে করে শ্রম্ধা প্রদান করে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।

 

এরপর সকাল ১১ সাভার রানা প্লাজার সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে সোহেল রানা সহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি , ক্ষতিপূরণ, শ্রমিক স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রতিবাদী র‌্যালী ও আলোকচিত্র অনুষ্ঠিত হয। রানা প্লাজার সামনে প্রতিবাদী র‍্যালী ও শ্রদ্ধা শেষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন নিহত রানা প্লাজার শ্রমিক সমাপ্তি রানীর মা রুনা রানী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, তাসলিমা আখতার, মিজানুর রহিম চৌধুরি, অঞ্জন দাস, নিহত শ্রমিকের মা রুনারানী দাস, নিহত শ্রমিকের মা নাছিমা আক্তার , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সাহা এবং নিহত পরিবারের সদস্য ও আহত শ্রমিকরা।

 

বিকেল ৩ টায় ঢাকার ১৬ শুক্রাবাদ পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনের প্রথম তলায় রানা প্লাজার নিহতদের স্মরণে কাঁথা -ছবি, সেলাই ও কথায় তৈরি স্মৃতি কাঁথা প্রদশতি হয়।স্মৃতি কাঁথা প্রদর্শণীতে বিকেল ৩ টায় উপস্থিত হন সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরি।

 

রানা প্লাজায় র‍্যালী ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন শেষে আলোকচিত্র উদ্বোধন করেন নিহত শ্রমিক সমাপ্তির মা রুনা রানী । রুনা রানী সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকা আসেন আজ । মেয়ে সমাপ্তিসহ হাজারো প্রাণ হারানো শ্রমিকদের স্মরণে রানা প্লাজার সামনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, ১২ বছরে মেয়ে রুনা রানীর হারিয়েছি। আজও তাকে ভুলতে পারি না। এখনো বিচার হয়নি দোষী সোহেল রানাসহ অন্যান্যদের । রুনা রাণী সকল দোষীর শাস্তি দাবি করেন এই নতুন বাংলাদেশে। গণঅভু্যত্থানের পরের বাংলাদেশে ।

 

তাসলিমা আখতার ও অন্যান্যরা বলেন, ২৪ এপ্রিল আবারও সেই অতীতের দু:সহ স্মৃতি কে সামনে এনেছে। এই ঘটনাকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তরুণদের লড়াইয়ে প্রেরণা দিতেই এই প্রদর্শনী। রানা প্লাজার শ্রমিকদের মতো যাতে আর কারো যাতে অকালে মরতে না হয় তার জন্য ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে দিয়েছে আয়োজকরা। তারা বলেন, রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যার ১২ বছরেও এই স্থানটি রক্ষা পায়নি। একইসাথে জুরাইনের গণকবরে সমাধি দেয়া শ্রমিকদের স্মৃতিও অসংরক্ষিত আছে। বক্তারা জুরাইনে কবরস্থানে শ্রমিকদের সকল কবরে নাম ফলক ও স্মৃতি ফলক এর ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে আহবান জানান। একইসাথে রানা প্লাজায় স্মৃতি সৌধ করার আহবান জানান।

বক্তারা আরো বলেন, ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১১৭৫ জনের বেশি শ্রমিকের প্রাণ ও স্বপ্ন নি:শেষ হয়ে গেছে।১২ বছরেও ১১৭৫ জন প্রাণ হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্তি হয়নি। কারখানার ভবন মালিক সোহেল রানা ছাড়া অন্যান্য মালিক, সরকারী কর্মকর্তারা জামিনে জেলের বাইরে আছেন। ফ্যাসিবাদী দু:শাসনকালে ফ্যাসিবাদী সরকার দোষীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের এবং তাদের বাঁচিয়ে দেবার প্রচেষ্টারই করেছে। বর্তমান ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবতী‍‍‍‍ সময়ে অন্তবর্তী সরকারের কাছে বক্তারা দ্রুত সোহেল রানাসহ দোষীদের শাস্তি দাবি করেন

 

অন্যান্য বক্তারা বলেন, নিহত ও আহত পরিবারকে ১২ বছর আগে যে আইনী ক্ষতিপুরণ বা অনুদান দেয়া হয়েছে তা কখনোই সম্মানজনক বা মর্যাদাপূর্ণ নয়। শ্রম আইনে ক্ষতিপুরণের আইন যা বদল হয়েছে তা অতি নগন্য। ১ লাখ এবং দেড় লাখ থেকে ২ লাখ ও আড়াই লাখ পর্যন্ত বাড়ানো কোন শ্রমিককে মানুষ হিসাবে গণ্য না করারই উদাহরণ।

 

তারা আরো বলেন, একদিকে একজীবনের সমপরিমাণ সম্মানজনক-মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপুরণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে আইনি সংস্কার করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!